ঢাকা।। করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউ ইয়র্কে ২৯ ও ৩০ মার্চ দুইদিনে আরো ১৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের সন্তান মুক্তিযোদ্ধা ও ইঞ্জিনিয়ার ইব্রাহিম, ফটো সাংবাদিক স্বপন হাই, আইটি প্রফেশনাল মির্জা হুদাও রয়েছেন।
কুইন্স হাসপাতাল, জ্যামাইকা হাসপাতাল, এলমহার্স্ট হাসপাতাল এবং ব্রুকলিনে ব্রুকডেল হাসপাতালের উদ্ধৃতি দিয়ে কমিউনিটি লিডার মাজেদা এ উদ্দিন এবং কাজী আজম বিস্তারিত জানিয়েছেন।
স্বপন হাই (৪৩) ছিলেন কিডনি রোগী। ডায়ালেসিস করতে হাসপাতালে গিয়ে সংক্রমিত হন করোনায়। এরপর সেখানেই ৩০ মার্চ সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় স্বপনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
৭৫ বছর বয়সী আনোয়ারুল আলম চৌধুরী করোনায় চিকিৎসা নিচ্ছিল ব্রুকডেল হাসপাতালে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল মাহমুদের শশুর আনোয়ারুল সোমবার অপরাহ্নে মারা গেছেন। জ্যাকসন হাইটসের প্রিমিয়াম সুইটসের কর্মী নিশাত চৌধুরী (২৪)কে মৃত ঘোষণা করা হয় সোমবার সকালে।
কিশোরগঞ্জের ইটণা এলাকার খালেদ হাসমত (৬৩) কেও সোমবার সকালে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এর আগের দিন রবিবার নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন হাসপাতালে যে, ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে অন্তত: ১০ জনই বাংলাদেশি। এরা হলেন, কায়কোবাদ ইসলাম, শফিকুর রহমান মজুমদার, আজিজুর রহমান, মির্জা হুদা, বিজিত কুমার সাহা, মো. শিপন হোসাইন, জায়েদ আলম ও মুতাব্বির চৌধুরী ইসমত।
এ নিয়ে নিউইয়র্ক সিটি এবং সলগ্ন এলাকার হাসাতালে ৩০ মার্চ পর্যন্ত ৩১ বাংলাদেশির প্রাণ গেল।
এখনও শতাধিক প্রবাসী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে নিউ ইয়র্ক পুলিশের ডিটেকটিভ মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। দু’জন বাংলাদেশি ডাক্তার সংক্রমিত হয়েছেন করোনায়। মুসলিম উম্মাহ নেতা মাহতাবউদ্দিন, বিএনপি নেতা খালেদ আকন্দ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন সপরিবারে।